সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ও সবল থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্ৰয়োজন । প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়। শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। আবার অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে ওজনজনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের বয়স ও কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তবে যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে, তাদের বেশি খাদ্যের প্রয়োজন।
প্রশ্ন : কীভাবে আমরা সুষম খাদ্য নির্বাচন করতে পারি?
কাজ : খাদ্যের পরিমাণ
কী করতে হবে :
১. নিচে দেখানো ছকের মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি।
কখন খেয়েছি ? | কী খেয়েছি ? | কতটুকু খেয়েছি ? |
---|---|---|
সকাল | পরটা ও কলা | ২টি ও ১টি |
২. গতকাল কী খেয়েছি, কখন খেয়েছি এবং কতটুকু খেয়েছি তার একটি তালিকা তৈরি করি।
৩. কাজটি নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করি।
কোন প্রকার রাসায়নিক দূষক বা জীবাণুমুক্ত খাবারকে নিরাপদ খাবার বলা হয়। খাবার পুষ্টিকর হলেও নিরাপদ হওয়া দরকার। পুষ্টিকর খাদ্য নিরাপদ না হলে আমাদের শরীরে কোনো কাজে আসে না। প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ না করলে শরীর যেমন দুর্বল হয়ে পড়ে, তেমনি অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে নানা প্রকার রোগব্যাধি হয় ।
সুষম খাদ্য গ্রহণ বলতে খাদ্যের প্রতিটি প্রকার থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করাকে বোঝায়। নিচের ছকে ৬–১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের পরিমাণের একটি সাধারণ নির্দেশনা দেওয়া হলো।
৬ -১২ বছর বয়সের শিশুর খাদ্য তালিকা
খাদ্যের প্রকারভেদ | খাদ্যের নমুনা | পরিমাণ | কত বার |
---|---|---|---|
খাদ্যশস্য ও আলু ( শর্করা ) | রুটি, পরটা, পাউরুটি | ১-২টা | প্রতিদিন ৩ – ৪ বার |
ভাত, আলু, অথবা নুডুলস | ১ কাপ | ||
শাক-সবজি (ভিটামিন, খনিজ লবণ ) | রান্না করা বা কাঁচা সবজি | আধা কাপ | প্রতিদিন ৩ অথবা ৪ বার |
ফলমূল (ভিটামিন, খনিজ লবণ ) | যে কোনো ধরনের ফল। যেমন— আম, আপেল, কমলা | ১ টি | প্রতিদিন ২ অথবা ৩ বার |
ফলের রস | ছোট গ্লাসের ১ গ্লাস | ||
মাছ, মাংস ও ডাল (আমিষ) | মাংস | ১-৩ টুকরা | প্রতিদিন ১ – ২ বার |
মাছ | মাঝারি মাপের ১ টুকরো | ||
ডিম | ১টি | ||
ডাল | মাঝারি মাপের ১-৩ কাপ | ||
দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য (ক্যালসিয়াম, ভিটামিন) | দুধ | এক গ্লাস | প্রতিদিন ১ -২ বার |
দই | এক কাপ | ||
পনির | এক টুকরা | ||
তেল ও চর্বি | ঘি, মাখন অথবা তেল | ১ টেবিল চামচ | ১ বার |
আমরা যা খাই তা কি সুষম খাবার ?
১. ডানে দেখানো ছকের মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি।
২. গতকাল যে সকল খাবার খেয়েছি সেগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করি এবং মোট কতবার খেয়েছি তার তালিকা করি।
৩. খাবারের তালিকাটি পূর্বের ছকের সাথে তুলনা করি এবং তা সুষম কি না যাচাই করি।
৪. সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে কাজটি সম্পন্ন করি।
খাদ্যের প্রকারভেদ | যা খেয়েছি | কত বার খেয়েছি |
---|---|---|
খাদ্যশস্য ও আলু | ||
শাকসবজি | ||
ফল-মূল | ||
মাছ, মাংস ও ডাল | ||
দুগ্ধজাতীয় খাদ্য | ||
তেল ও চর্বি |
আরও দেখুন...